৮ শতাধিক কর্মী নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)
মশক নিধন কার্যক্রমের মহড়া দিয়েছে। শুক্রবার ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায়
এ মশক নিধন ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছে কর্পোরেশন।
এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৪৫০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী, স্বাস্থ্য বিভাগের ৫০ জন মশক কর্মী, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ১০০ স্বেচ্ছাসেবক, বিডি ক্লিনের ৫০ জন এবং ধানমন্ডি সোসাইটির ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করেন। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকাকে ৭টি পৃথক জোনে ভাগ করে মূল রাস্তা, লেক, পার্ক, মসজিদ, ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার ও মশার ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।
তবে এই কার্যক্রমকে লোক দেখানো বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় নাগরিকরা। তাঁরা বলেছেন,
সিটি কর্পোরেশন নগরের মশক নিধন করবে এটা তাদের রুটিন কাজ এ জন্য তাদের জনগনের টাকার
ভাগ থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়।
পরিচ্ছন্নতা প্রোগ্রাম চলাকালীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ঢাকাকে সুন্দর ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক সোসাইটিগুলো আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে রাজউক, গণপূর্ত, বিআরটিএ, পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার অংশগ্রহণে সরকার একটি সুপরিকল্পিত ও সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করছে। এছাড়া পয়ঃনিষ্কাশনের জন্যেও মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন হচ্ছে বলে সচিব জানান। তিনি নিজের আঙিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে নাগরিক দায়িত্ব পালনের জন্য নগরবাসীকে আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক বলেন, বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি অঞ্চলে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করা হবে। ধানমন্ডি থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে আজ পর্যন্ত ঢাকা শহরকে নিয়ে ৩টি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। ১৯১৭ সালে স্যার প্যাট্রিক গেডিস যে মাস্টারপ্ল্যান করেছিলেন সেখানে বলা হয়েছিল ঢাকা হবে একটি বাগানের শহর। কিন্তু দুঃখের বিষয় বেসরকারি হাউজিং শুরু হওয়ার পরে ঢাকা থেকে সবুজ ও জলাশয় হারিয়ে যেতে থাকলো। আমরা ঢাকার সবুজায়ন ফিরিয়ে আনতে এই বছর বর্ষার শুরুতেই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করবো।
অভিযান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অতিথিরা জনসচেতনতামূলক একটি র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এই অভিযানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার উপস্থিতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং ধানমন্ডি সোসাইটি এই বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।